পার্সটুডের তথ্য বলছে, পরমাণু সমঝোতা বা জেসিপিওএ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেরিয়ে যাওয়ার বহু বছর ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারও আলোচনার টেবিলে ফিরে এসেছে। গতকাল (শুক্রবার) ইতালির রাজধানী রোমে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি এবং আমেরিকার পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ইতালির রাজধানী রোমে দ্বিতীয় দফা পরোক্ষ আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।
উভয় পক্ষ আলোচনাকে ইতিবাচক ও গঠনমূলক হিসেবে গণ্য করেছে এবং আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
সাম্প্রতিক আলোচনায় ইরানের প্রাথমিক সাফল্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা শুরুর আগে ইহুদিবাদী মহল এবং তাদের মিডিয়া আলোচনায় ইরান দুর্বল অবস্থানে থাকবে বলে প্রচার চালিয়ে আসছিল।
আলোচনা শুরুর আগেই এটা স্পষ্ট ছিল যে, ওয়াশিংটন দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ওমানকে রাখার ইরানি দাবি মেনে নিয়েছে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (মধ্যস্থতার জন্য ওয়াশিংটনের পছন্দ) তেহরান গ্রহণ করেনি।
ইরানের আরেকটি দাবি বাস্তবায়িত হয়েছে, আর তাহলো পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধার পরিবেশ। কোনও হুমকিপূর্ণ বিবৃতি ছাড়াই পরোক্ষ আলোচনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলোচনার সম্মানজনক পরিবেশ বজায় থাকার পাশাপাশি ট্রাম্পের প্রতিনিধি ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাকচির কাছে যে খসড়া প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন, তাতে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস বা দেশটির বিরুদ্ধে কোনও হুমকির কথা উল্লেখ করা হয়নি।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বিপরীতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের গণমাধ্যম ইরানকে দুর্বল হিসেবে তুলে ধরছে। ওয়াশিংটনের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেছে বলে অভিযোগ করছে। ইহুদিবাদী ইসরাইলের মদদপুষ্ট কিছু ফার্সি ভাষার গণমাধ্যমও এ ক্ষেত্রে উসকানিমূলক তৎপরতা চালাচ্ছে
আল জাজিরা টিভি চ্যানেলের সংবাদদাতা ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা সম্পর্কে বলেছেন, ওমানে এই অঞ্চলের সবচেয়ে জটিল বিষয়গুলোর একটিতে ইরানি কূটনীতি এবং প্রভাবের বড় বিজয় এসেছে।
সার্বিকভাবে বলা যায়, আলোচনায় ইরান তার রেড লাইনগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর চাপিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে আলোচনা হয়েছে। এই পরোক্ষ আলোচনাকে নিয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইলের পক্ষপাতদুষ্ট কভারেজ তাদের নিজেদের জন্য লজ্জা ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনতে পারে নি।#
342/
Your Comment